শিরোনাম: |
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম মুবারাক শুনে দরূদ শরীফ পড়ে আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে লাাগানোর বিষয়ে
সৈয়দপুরের বাহাছের সিদ্ধান্ত
সুন্নীবার্তা ডেস্ক
|
গত মঙ্গলবার ২১ জুন ২০১৬ সৈয়দপুরে সুন্নী ও কওমী আলেমদের মধ্যে একটি বাহাছ তথা বিতর্ক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাহাছের বিষয় ছিলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম মুবারাক শুনে দরূদ শরীফ পড়ে আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে লাাগানো ইসলামসম্মত কি না। বেলা এগারটায় বাহাছ আরম্ভ হওয়ার কথা থাকলেও তা আরম্ভ হয় বেলা সাড়ে এগারটায়। প্রথম অবস্থায় সুন্নী ওলামাবৃন্দ উপজেলা পরিষদ কর্তৃক নিয়োজিত বাহাছের তত্ত্বাবধায়ক নীলফামারি আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সম্বন্ধে আপত্তি তুললেও পরবর্তীতে তাকে মেনে নিয়েই বাহাছ আরম্ভ হয়।
বাহাছের শুরুতেই কওমীপন্থী আলেমদের পক্ষ থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম মুবারাক শুনে দরূদ শরীফ পড়ে আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে লাাগানোর বিপক্ষে বক্তব্য উপস্থাপিত হয়। সুন্নী আলেমদের পক্ষে প্রথমে বক্তব্য উপস্থাপন করেন আল্লামা এরশাদ আহমেদ আল বোখারী। কওমী আলেমদের বক্তব্যের বিষয়ে মাওলানা হেলাল কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেন। এরপর কওমী আলেমদের জেরার প্রেক্ষিতে মুফতী মোহাম্মদ শাহ আলম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম মুবারাক শুনে দরূদ শরীফ পড়ে আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে লাাগানোর পক্ষে বিস্তারিত বক্তব্য পেশ করেন। মুফতী মোহাম্মদ শাহ আলমের পাল্টা জেরার প্রেক্ষিতে কওমীপন্থী আলেমগণ বলেন যে এই মুহূর্তে তারা এর জবাব দিতে অপারগ, পরবর্তীতে জবাব দিবেন। কওমীপন্থী আলেমদের পক্ষে বাহাছে উপস্থিত ছিলেন মুফতী হারুন বোখারী,মুফতী আব্দুর রাহমান, মুফতী জাফর আলম কাসেমী,মুফতী ইমরান আলম,মুফতী এনামুল হাছান সাদী। বাহাছে সুন্নী আলেমদের পক্ষে কওমীপন্থী আলেমদের নাস্তানাবুদ করেন আল্লামা এরশাদ আহমেদ আল বোখারী ও মুফতী মোহাম্মদ শাহ আলম। এছাড়াও সুন্নী আলেমদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন মুফতী মুহাম্মদ আমীন। এছাড়াও মাওলানা মাসউদ বাহাছের পুরোটা সময় জুড়েই কেবল কাট্টা মুস্তাহাব বলে সুন্নী আলেমদের পক্ষে জোর সমর্থন ব্যক্ত করেন। উভয় পক্ষের আলোচনার শেষে সকলেই ঐক্যমতে এ সিদ্ধান্ত উপনীত হন যে, কেউ যদি ফরজ-ওয়াজিব-সুন্নাত না মনে করে মুস্তাহাব মনে করে আমল করে তবে আমল করতে সমস্যা নেই। সকল আলেম এতে একমত। কেউ যদি এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তবে উক্ত আমলটি ছেড়ে দেয়া উত্তম। উভয় মতামত বিশুদ্ধ। কিন্তু উক্ত আমলকে বিদআত বলা যাবে না। এ সিদ্বান্তটি মুফতী মুহাম্মদ শাহ আলম কর্তৃক লিখিত হয় ও উভয় পক্ষের আলেমগণ এতে স্বাক্ষর করেন। |