| শিরোনাম: |
|
সৌন্দর্যচর্চায় সরিষার তেলের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা
|
![]() সৌন্দর্যচর্চায় সরিষার তেলের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা আগের দিনে নানী-দাদীরা চুলের যত্নে সরিষার তেল ব্যবহার করতেন। এখনও অনেকে মাথায় সরিষার তেল ব্যবহার করে থাকেন। চুলের আগা ফাটা, চুল পড়া রোধ, চুল ঘন কালো করতে সরিষার তেলের ভূমিকা অপরিসীম। শুধু কি চুল? ত্বকের যত্নেও রয়েছে এর বহুবিধ ব্যবহার। ১। প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন – সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলে গেছেন বা সানস্ক্রিন ব্যবহারে আপনার অ্যালার্জি আছে? চিন্তা নেই, সরিষার তেলই সানস্ক্রিনের কাজ করবে। সরিষার তেল Mustard oil এবং ভিটামিন ই তেল মিশিয়ে নিন। ভিটামিন ই অয়েল সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। এর সাথে ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপ রোধ করতে সাহায্য করে। সরিষার তেল খুব ভালভাবে ম্যাসাজ করুন, যাতে ত্বকে কোন তেল না থাকে। ২। ত্বকের দাগ দূর করতে – ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সরিষার তেল অনেক কার্যকরী। বেসন, টকদই, সরিষার তেল এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। ১০-১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে সপ্তাহে তিনবার এই প্যাক ব্যবহার করুন। ৩। ঠোঁট ফাটা রোধ করতে – ঠোঁট ফাটা খুব সাধারণ সমস্যা। অনেকের এই সমস্যা এত বেশি হয়ে থাকে যে লিপবাম কাজ করে না। অল্প একটু সরিষার তেল নিয়ে ঠোঁটে লাগান। এই প্রাকৃতিক ময়োশ্চারাইজার ঠোঁট ফাটা রোধ করে ঠোঁট নরম কোমল করে তুলে। ৪। চুল পাকা রোধ করতে – সরিষার তেলের পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন, মিনারেল চুলের অকালপক্কতা রোধ করে থাকে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সরিয়ার তেল Mustard oil ম্যাসাজ করুন চুল এবং মাথার তালুতে। এটি আপনার চুল পাকা রোধ করবে। ৫। নতুন চুল গজাতে – সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে। এটি নিয়মিত মাথার তালুতে ম্যাসাজ করার ফলে নিয়মিত নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়া এই তেল আয়রন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের উৎস। যা চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। সরিষার তেল ব্যবহারের পূর্বে তার খাটি মান নিশ্চিত হওয়াটা জরুরী। নকল বা ভেজাল সরিষার তেল ব্যবহার করলে এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। সূত্র: ওয়েবসাইট নার্কবার্তা ডটকম/কেএইচ |