চলতি ২০১৫ -১৬ অর্থবছরে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আতঙ্কে বিনিয়োগ পরিস্থিতি দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে নিজের এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন তিনি। দেবপ্রিয় বলেন, দেশে শান্তি-নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ না থাকলেও দুশ্চিতা রয়েছে। বিনিয়োগের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে, কিন্তু অনিশ্চয়তাও রয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের শান্তি নিরাপত্তা বিভিন্ন ধরনের আক্রমনের মুখে আছে। জনজীবন নিরাপদ থাকলে, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি অব্যাহত থাকলে বিনিয়োগ পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে। চলতি অর্থবছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কাও করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। দেবপ্রিয় বলেন, প্রতিবেদন যখন তৈরি করা হয়, তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যখন আমরা বসি তখন যে বিষয়টি আমাদের চোখে বেশি লাগে সেটা হলো বিগত পাঁচ মাসে দেশে এক ধরনের শান্তি-শৃঙ্খলা ছিল, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল, বিশ্বে দ্রব্য মূল্যে দাম কম ছিল, দেশের ভিতরও কম ছিল। তারপরও একটা দুর্বলতা দেখা দিয়েছে, তা হলো: ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ। ব্যাংকিং খাতের সঙ্কট রয়েছে উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের সঙ্কট চলছে। এ সঙ্কট খুব প্রচ্ছন্নভাবে রয়েছে। বিভিন্ন নীতি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা প্রয়োগ-অপপ্রয়োগের কারণে এমনটি হয়েছে। ব্যক্তি বা বেসরকারি ব্যাংকেও মন্দ ঋণ রয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই মালিকদের ঋণ কি না তা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। যাকে বলা হয় ‘ইনসাইডার’ সমস্যা। রাষ্টীয় ব্যাংক ও ব্যক্তি ব্যাংকের মধ্যে একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। দেবপ্রিয় বলেন, ভোক্তা ও উৎপাদকের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি এগ্রিকালচারাল কমিশনের কথা আমরা বলেছি।