শিরোনাম: |
গাজাসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনের ভেতরে বাহিরে
আরবদের উপর যায়নবাদীদের নতুন হামলা কেন?
ফারিজুল বারী
|
কারফিউ চলাকালীন ইহুদি-আরব শহর লোডে টহল দিচ্ছে ইসরাইলি সেনারা হুট করেই কি শেখ জারারাহ(জেরুজালেম এর এক ফিলিস্তিন বসতি)-কে ইস্যু করে ইসরায়েল নতুন করে খোদ ইসরাইলের ভিতরেই আরবদের বিরুদ্ধে ক্র্যাক ডাউনে নামলো? নাকি এর পেছনে তাদের আভ্যন্তরীণ অন্য কোন কারণও আছে? আসুন খতিয়ে দেখা যাক। গেল দুই বছরে ইসরায়েলে ৪ দফা নির্বাচন হয়েছে যাতে ইসরায়েলের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা স্পষ্ট। ইসরাইলে মাসখানে আগে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে যাতে কোন ইহুদী দল-ই সরকার গঠনের মত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় নাই। নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি বারবার চেষ্টা করেও সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়েছে। বেনি গান্তজ-নেতানিয়াহু কয়েকদিন আগে ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি নেতানিয়াহুর প্রতিপক্ষ বেনি গান্তজ এর রেজিলিয়েন্স পার্টিকে সরকার গঠনের আহবান জানিয়েছে। বেনি গান্তজ সরকার গঠন করলেও সেটা যে নড়বড়ে হবে তা স্পষ্ট। এই বেনি গান্তজ ছিলো ২০১৪ সালে গাজা আগ্রাসনের কমান্ডার। অর্থাৎ এখন ইসরায়েলে সে-ই রাজনৈতিকভাবে বেশি সফল যে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি কঠোর। মনসুর আব্বাস মাঝখান দিয়ে কিং মেকার হয়ে উঠেছে ইসরায়েল বসবাস করা আরব মুসলমানদের রাজনৈতিক দল। মনসুর আব্বাস নামীয় ইসরায়েলী আরব এক রাজনীতিক এর এই "ইউনাইটেড আরব লিস্ট পার্টি"( হিব্রুতে রা'ম) নামক দল এবারের নির্বাচনে ৫ টি আসন পেয়েছে, যে আসন গুলোর সবগুলোই ইসরায়েলের আরব অধ্যুষিত এলাকার। আরবরা-ই যে ইসরায়েলের ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের মূল নিয়ামক হয়ে উঠেছে তা স্বাভাবিকভাবেই যায়নবাদী ইসরাইলীদের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়েছে উঠেছে। আর তাই দেখা যাচ্ছে শুধু গাজা নয় বরং খোদ ইসরাইলের ভিতরেই আরবরা হামলার শিকার হচ্ছেন। |