শিরোনাম: |
২৮ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তন বায়তুল মোকাররম, ঢাকায়
আ’লা হযরত ও অধ্যক্ষ হাফেজ এম.এ.জলিল(রঃ) কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
সুন্নীবার্তা ডেস্ক
|
![]() আ’লা হযরত ও অধ্যক্ষ হাফেজ এম.এ.জলিল(রঃ) কনফারেন্স অনুষ্ঠিত ২৮ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তন বায়তুল মোকাররম, ঢাকায় আ’লা হযরত ও অধ্যক্ষ হাফেজ এম. এ. জলিল (র:) এঁর স্মরণে এক স্মরণ সভা ও সুন্নি মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পীরে তরিকত আল্লামা শাহ্ মোঃ আবদুর রহিম আল-ক্বাদেরী। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুশরীখোলা দরবার শরীফ, নারিন্দার পীর সাহেব আল্লামা শাহ্ মোহাম্মদ আহছানুজ্জামান (মা:জি:আ) এঁর প্রতিনিধি। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, সাবেক চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেন্য আলেম হযরতুল আল্লামা আবুল কাশেম নূরী (মা:জি:আ), চট্টগ্রাম। এছাড়াও দেশের প্রখ্যাত ওলামায়ে কেরামগণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ![]() আ’লা হযরত ও অধ্যক্ষ হাফেজ এম.এ.জলিল(রঃ) কনফারেন্স অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা এক বাক্যে যে কথাটা বলেছেন খারেজী-রাফেজী, ওহাবী-মওদূদী-তাবলিগী ও আহলে হাদিসরা একটি মাত্র এজেন্ডা বাস্তবায়নের এগিয়ে এসেছে, তাহলো যেভাবেই হোক মানুষের হৃদয় থেকে নবীপ্রেম ছিনিয়ে নিতে হবে। কিন্তু তারা তখনও অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি কতিপয় নায়েবে রাসূল, নবীপ্রেমিক বীর সৈনিকদের দূর্বার আন্দোলনের কারনে। চতুর্দশ শতাব্দির মুজাদ্দিদ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরেলভী (রঃ) দেওবন্দী-ওহাবীদের কলম যুদ্ধ এবং তর্কযুদ্ধে পরাজিত করেছেন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বাংলার জমিনে আ’লা হযরতের সুযোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে অধ্যক্ষ হাফেজ এম. এ. জলিল (রঃ) কে আখ্যায়িত করেন। নবী প্রেমিকরা হাফেজ এম. এ. জলিল (রঃ)-কে হারিয়ে দিশেহারা। শুধু তাই নয় সুন্নী মুসলমানরা হারিয়েছেন একজন মহান অভিভাবক, গবেষক এবং একজন যোগ্য রাহনুমা। পীর-মাশায়েখরাও অধ্যক্ষ হাফেজ এম. এ. জলিল (র:) এঁর ওফাতের আগে যে কোন সমস্যায় তাঁকে স্মরণ করতেন।সারা বাংলায় অধ্যক্ষ হাফেজ এম. এ. জলিল (র:) এঁর ছাত্ররা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বিভিন্ন এলাকায় কেউ পীর, কেউ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, কেউ বক্তা, কেউ মোহাদ্দেছ। তারা সবাই আজ উপলব্দি করছেন অধ্যক্ষ হাফেজ এম. এ. জলিল (র:) সবার মাথার উপর বটবৃক্ষের ন্যায় ছায়া দিয়ে রেখেছিলেন। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সকল শ্রেনী-পেশার সুন্নি মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওহাবী-খারেজী, আহলে হাদিস, মওদূদীবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ অলি-আল্লাহর দেশ,হযরত শাহজালালের দেশ,হযরত শাহপরানের দেশ,হযরত শাহ মখদুমের দেশ,হযরত আমানত শাহ্’র দেশ,হযরত শাহ আলীর দেশ,হযরত শাহ শরফুদ্দিন চিশতির দেশ,হযরত গাজীপুরির দেশ, বন্দি শাহ এর দেশ। এক কথায় আওলিয়াকেরামগণ এই দেশে ইসলাম এনেছেন। আওলিয়াকেরামগণের আদর্শ সমুন্নত রেখে নবীপ্রেম-অলিপ্রেম নিয়েই অধ্যক্ষ হাফেজ এম. এ. জলিল (রহঃ)-এঁর আদর্শকে বুকে ধারণ করে ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলার দৃপ্ত শপথ গ্রহণ করেন উপস্থিত সুধি এবং বক্তারা। ![]() আ’লা হযরত ও অধ্যক্ষ হাফেজ এম.এ.জলিল(রঃ) কনফারেন্স অনুষ্ঠিত প্রধান আলোচক তাঁর বক্তব্যে আ’লা হযরত মুজাদ্দেদে মিল্লাত শাহ্ আহমদ রেযা খান ফাযেলে বেরেলী (রঃ) ও অধ্যক্ষ হাফেজ এম. এ. জলিল (র:) এঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। আ’লা হযরত মুজাদ্দেদে মিল্লাত শাহ্ আহমদ রেযা খান ফাযেলে বেরেলী (রঃ) বাতিল ফের্কার মুখোশ উন্মোচিত করেছেন, গোমরাহী মতবাদ খন্ডন করে অসংখ্য কিতাব লিখেছেন। এই ক্ষনজন্মা পুরুষ ১৪ বছর বয়সে ১২৮৬ হিজরী থেকে সংস্কারমূলক কাযক্রম শুরু করেন এবং অর্ধ-শতাব্দীব্যাপী তাজদীদী কার্যক্রম চালিয়ে দেওবন্দী ও কাদিয়ানী ফেতনার মূলোৎপাটন করেন বলে তিনি তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। ![]() আ’লা হযরত ও অধ্যক্ষ হাফেজ এম.এ.জলিল(রঃ) কনফারেন্স অনুষ্ঠিত বর্তমান জামানায় দেশ-বিদেশে যে ভাবে দয়াল নবীজীকে খাটো করার জন্যে ওহাবী, খারেজী, আহ্লে হাদিস, ফেতনাবাজরা ওঠে-পরে লেগেছে তাদের ব্যাপারে ইমাম আহমদ রেজা (রহঃ) সময়োচিত জবাব দিয়ে বহু কিতাব লিখে গেছেন, যেগুলো বিশেষ সমাদৃত বলে তিনি উল্লেখ করেন। অধ্যক্ষ হাফেজ এম. এ. জলিল (রহঃ) জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বেদাতিদের বিরুদ্ধে মর্দে মুজাহিদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।বিশেষ অতিথির বক্তব্যের হযরতুল আল্লামা আবুল কাশেম নূরী (মা:জি:আ:) আ’লা হযরত ও হাফেজ এম. এ. জলিল (রহঃ) সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এবং আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে ব্যংঙের ছাতার ন্যায় যেভাবে মাদ্রাসা গড়ে উঠছে এগুলোতে চলছে ওহাবী ও মৌদূদিবাদের চর্চা এই ওহাবী ও মৌদুদী ফিতনা হতে বাঁচতে হলে আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা (রহঃ) কে আমাদের ইমাম মানতে হবে। তাঁর কর্মের ধাঁচে কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। এবং মসলকে আ’লা হযরত ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। যে কাজটি অধ্যক্ষ হাফেয এম. এ. জলিল (রহঃ) হাতে নিয়েছিলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেন্য ওলামাসহ এ্যাড: আলহাজ¦ দেলোয়ার হোসেন পাটওয়ারী আশরাফী, কাজি মাওঃ মোঃ মোবারক হোসেন ফরাজী, আলহাজ¦ মোঃ শাহ্ আলম, ডঃ এ্যাড. আবদুল আউয়াল, আলহাজ¦ মোঃ আবদুর রব, আলহাজ¦ মোহাঃ আবুল হাশেম, আলহাজ¦ মোঃ ইকবাল, এ্যাড. এ. কে. এম কামরুল হাসান খায়ের, মুহাম্মদ সেকান্দর হোসেন সুমন, মাওঃ মোস্তাক আহমদ প্রমুখ। উক্ত সম্মেলনে আরও যাঁদের স্মরণ করা হয় : * পীরে তরিকত হযরত মাওঃ গাজী আকবর আলী রেজভী (রঃ), নেত্রকোণা * পীরে তরিকত হযরত মাওঃ আবদুল হামিদ আল-ক্বাদেরী (রঃ), ঢাকা * পীরে তরিকত শেখ শাহ্জাদা ড. আহমদ পেয়ারা বাগদাদী (রঃ), কুমিল্লা * পীরে তরিকত হযরতুল আল্লামা আমিরুল ইসলাম জালালী (রঃ), লাকসাম, কুমিল্লা * ড. আজিজুর রহমান চৌধুরী (রঃ), ঢাকা * পীরে তরিকত হযরত মাওঃ সদরুল আমিন রেজভী (রঃ), নেত্রকোণা * খতিবে বাঙ্গাল আল্লামা জালাল উদ্দিন আল-ক্বাদেরী, চট্টগ্রাম * শহীদে মিল্লাত হযরত মাওঃ নুরুল ইসলাম ফারুকী, ঢাকা * পীরে তরিকত হযরত মাওঃ সেকান্দর হোসাইন আল-ক্বাদেরী, দুলালপুর।
|