ভারতের পাঠানকোটে হামলার আগে পাকিস্তানে চারবার ফোন করেছিল হামলাকারী জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে এমনটাই জানা গেছে, পরিবারের সাথে কথা হয় শীর্ষ জঙ্গিদের সঙ্গেও। এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়, ওই ফোনটি ছিল বিমান ঘাঁটিতে হামলাকারী এক সন্ত্রাসীর, নিজের মায়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। শুক্রবার রাত ১টা ৫৮ মিনিট ৭০ সেকেন্ডের ওই কলটি করা হয়। একপ্রান্তে বলতে শোনা যায়, সে একটি ‘আত্মঘাতী মিশনে’ বের হয়েছে। উত্তরে অপর পক্ষ চুপ থাকলে ওই ব্যক্তি বলে, “আমি একটি আত্মঘাতী মিশনে রয়েছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দেখে রাখবেন।”ওই ব্যক্তি পাঞ্জাবি ও মুলতানি ভাষায় কথা বলছিলেন গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে । গোয়েন্দা সূত্রে আরো জানা যায়, ফোনে গতিবিধি জানিয়ে তিনবার পাক জঙ্গিদের সঙ্গে কথা বলে হামলাকারীরা। এক জঙ্গি বলে- আমরা প্রায় টার্গেটের কাছে পৌঁছে গেছি, আমরা এবার ঢুকছি। শেষ পর্যন্ত আমরা ঢুকে পড়েছি। প্রত্যুত্তরে জানানো হয়, খুব ভালো কথা, আগে পজিশন নাও, তারপর লক্ষ্যপূরণ কর। ওই কথোপকথনের দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে পাঠানকোট বিমান ঘাঁটিতে গুলির শব্দ শোনা যায়। পরবর্তী ১০ ঘণ্টা লড়াইয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিন সদস্য ও চার হামলাকারী নিহত হন। গোয়েন্দারা আরো জানিয়েছেন- গুরদাসপুরের এসপির গাড়ি অপহরণ করার আগে একটি প্রাইভেট ট্যাক্সিও ভাড়া করেছিল জঙ্গিরা। আর সেই টয়োটা ইনোভার গাড়িচালককে ডাকতে পাকিস্তানের ফোনটিই তারা ব্যবহার করেছিল। ওই চালককে ধরে ফেলেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে- সে প্রায়ই পাক চোরাচালানকারীদের এভাবে গাড়িতে ওঠায় না কি ভুলবশত পাকিস্তানের নম্বর চিনতে পারেনি সে । এ বিষয়ে বিস্তর তদন্তও চলছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, পাঠানকোট সেনাঘাঁটিতেই রয়েছে কার্গিল যুদ্ধের ত্রাস মিগ-২৫ এবং মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের বেস। যুদ্ধবিমানের অন্যতম বড় জ্বালানি সরবরাহকারী ট্যাংকও রয়েছে এখানে। যা উত্তর ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বড়। বিমান বাহিনীর এসব সম্পদকেই টার্গেট করেছিল জঙ্গিরা, অনুমান করছে ভারতীয় গোয়েন্দারা।লাহোরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সারপ্রাইজ’ সফরের কয়েকদিনের মাথায় ভারতের বিমানঘাঁটিতে এই সন্ত্রাসী হামলা হলো।