মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫ ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
শিরোনাম: মোহসিন আউলিয়া রহ. মাজারে ঈদে মিলাদুন্নবী দ. উপলক্ষ্যে খাবার বিতরণ       সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে কারবালার চেতনা       সাইয়্যেদুনা উসমান গণী যুন্নুরাঈনঃজীবন-কর্ম-শাহাদাৎ       সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ'র কন্সট্যান্টিনোপল বিজয়াভিজান       যুদ্ধবিরতি হলেও আরো যা যা হয় নাই-       ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক ঐক্য বিনাশে গাজায় হামলা       আরবদের উপর যায়নবাদীদের নতুন হামলা কেন?      
মক্কা মুকাররমায় মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন
মাহমুদ হাছান
প্রকাশ: শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৯:৫৬ এএম |

মক্কা মুকাররমায় মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন

মক্কা মুকাররমায় মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন

শুরুতে সেই ঐতিহাসিক পর্যটকের পরিচিতি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি যার সুবাদে আজ এক মহাসত্য, মহা বাস্তব ঘটনা জানতে পেরেছি।

ইবনু জুবাইর, পুরো নাম আবুল হাসান মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন জুবাইর। ৫৪০ হিজরীতে তাঁর জন্ম। স্পেনের ভ্যালেন্সিয়াতে। তিনি একাধারে যেমন হাফেজে কোর’আন ছিলেন, তেমন ছিলেন আলেমে দ্বীন এবং প্রসিদ্ধ সাহিত্যিক ও পর্যটক। তিনি জীবনে তিনবার বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন। সর্বশেষ যখন তিনি ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন, সেটা ছিল তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর ইন্তেকালের পর। ভ্রমণের এক পর্যায়ে তিনি মক্কা মুকাররামায় গিয়ে পৌঁছেছিলেন। ঐতিহাসিক পর্যটক ইবনু জুবাইর তাঁর ভ্রমণকালের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা লিখে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর কোন এক ছাত্র সেগুলো সংকলণ করে প্রকাশ করেছিলেন যা পরবর্তীতে ‘রিহলাহ’ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে।

'রিহলাহ' ইবন জুবাইরঃ 
ঐতিহাসিক ইবনু জুবাইর যখন মক্কা মুকাররামাতে পৌঁছেন, তখন সেখানে তিনি কী কী দেখেছিলেন, কী অভিজ্ঞতা হাসিল করেছিলেন, 
তা নীচে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ইনশা আল্লাহ।

রিহলাহ, পেইজ নং ৯১। 
তিনি লিখেছেন,
মক্কা (মুকাররামাহ)। আল্লাহ তাঁকে মর্যাদাবান করেছেন। পুরোটাই মহান দর্শনীয় স্থান । 
(এরপর তিনি কা’বা ঘরের কথা উল্লেখ করেছেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বেড়ে উঠার স্থানের কথা এবং ওহী নাযিল সহ অন্যান্য কথা বলেছেন।)
এরপর তিনি লিখেন, 
এঁর (মক্কা মুকাররামার) আরেকটি দর্শনীয় স্থান হলো, কুব্বাতুল ওহী বা ওহীর গম্বুজ। এটি উম্মুল মুমিনীন খাদীজাহ রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘরে অবস্থিত। ঐ ঘরে আরেকটি ছোট্ট গম্বুজ রয়েছে যেখানে ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহার জন্ম হয়েছিল। এখানেই আবার জান্নাতের যুবকদের দুই সায়্যিদ (সর্দার) ইমাম হাসান এবং ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমার জন্ম হয়েছিল।
এরপর তিনি লিখেন,
তন্মধ্যে আরেকটি স্থান হচ্ছে সেটি যেখানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম (ওয়েলাদত শরীফ) হয়েছিল। এবং সেই পবিত্র মাটি যা সর্বপ্রথম তাঁর পবিত্র জিসিম মুবারককে স্পর্শ লাগিয়েছিল। সেখানে একটি মসজিদ ও নির্মিত হয়েছিল। এবং সেই পবিত্র স্থান যেখানে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়েলাদত মুবারকের সময় তাশরীফ রেখেছিলেন যাকে আল্লাহ তা’আলা সমগ্র উম্মতের জন্য রহমত হিসেবে কবুল করেছেন। ঐ স্থানটি রৌপ্য দ্বারা বেষ্টিত।

এরপর ইবনু জুবাইর লিখেন, 
(পেইজ – ৯২।) 
এ বরকতময় স্থানটি ওপেন করে দেয়া হয় রবীউল আউয়াল মাসে এবং সোমবার দিনে আর সমগ্র মুসলমান তখন সেখানে বরকত লাভের আশায় প্রবেশ করেন।

_____________ 
আমরা দেখলাম, 
৭০০ বছরের পুরোনো ইসলামের ইতিহাস। মুসলমানের ঐতিহ্যের ইতিহাস। নবীপ্রেমের ইতিহাস। মীলাদুন্নবীর ইতিহাস। 
হয়তো বা কোন একদিন আবার আসবে সেই ঐতিহ্য ।
মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে মক্কা মুকাররামাতে ঘোষিত হবে বিশেষ কর্মসূচী। 
অসম্ভব নয়।
শুধু প্রতীক্ষার প্রহর।






আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
মোহসিন আউলিয়া রহ. মাজারে ঈদে মিলাদুন্নবী দ. উপলক্ষ্যে খাবার বিতরণ
সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে কারবালার চেতনা
সাইয়্যেদুনা উসমান গণী যুন্নুরাঈনঃজীবন-কর্ম-শাহাদাৎ
সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ'র কন্সট্যান্টিনোপল বিজয়াভিজান
যুদ্ধবিরতি হলেও আরো যা যা হয় নাই-
ফিলিস্তিনিদের রাজনৈতিক ঐক্য বিনাশে গাজায় হামলা
আরবদের উপর যায়নবাদীদের নতুন হামলা কেন?
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
অগণিত কারামতের ধারক গাউসুল আ’যম (কলাম -১)
শা’বান মাস ও শবে বরাতের তাৎপর্য
ইসলামে কাব্য, কবিতা, কাব্য চর্চা : না'তে রাসূল "মীলাদ শরিফ" কবিতার নাম
দুরুদ শরীফ পাঠের ফজিলত
ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ এঁর পক্ষে ওহাবী গুরু ইবনে তাইমিয়া ওইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর  ফতোয়া
কুরআন-সুন্নাহের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ এঁর স্মরনে স্মরনানুষ্ঠান/উদযাপন/পালন
লাইলাতুল বরাতের প্রামাণ্যতা ও তাৎপর্য
প্রকাশক ও সম্পাদক :---
"মা নীড়" ১৩২/৩ আহমদবাগ, সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪
ফোন : +৮৮-০২-৭২৭৫১০৭, মোবাইল : ০১৭৩৯-৩৬০৮৬৩, ই-মেইল : [email protected]